বহুবার খারিজের পর অবশেষে মিলল জামিন৷ হলদিয়া আদালত থেকে অবশেষে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী একনিষ্ঠ অনুগামী বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল। নন্দীগ্রামে কৃষি দফতরের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া এবং সরকারি আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷
তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি পলয় পাল বলেন, “আইনের প্রতি আমরা প্রথম থেকে শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাশীল। রাজ্য সরকার মিথ্যা মামলায় বিজেপি নেতৃত্বদের ফাঁসাচ্ছে। আদালতের উপর পূর্ণ আশ্বাস ছিল। ন্যায়বিচার পেলাম। নবান্ন থেকে নির্দেশ আসার পরই পুলিশ মামলা করে এবং ধারা যুক্ত করে। পুরোপুরি ভাবে প্রশাসন দলদাস থেকে কৃতদাসের কাজ করছে। তবে গণতন্ত্রের জয় হল৷”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল। পুলিশি হেফাজতের পর আবারও বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মেঘনাথ পালকে আদালতে হাজির করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। আদালতের বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত দেন। মেঘনাথ পাল নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।
গত কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রাম হরিপুর অঞ্চল পক্ষ থেকে কিষান মান্ডিতে একাধিক দুর্নীতির দাবিতে কয়েকশো গ্রামবাসীদের নিয়ে ডেপুটেশনের দিয়েছিলেন মেঘনাথ পাল সহ একাধিক নেতৃত্বরা। এরপর কৃষি দপ্তরের আধিকারিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় মেঘনাথ পাল সহ হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান ও উপপ্রধান এক ঝাঁক নেতৃত্বের। এরপর নন্দীগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে মেঘনাথ পাল সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।আদালতে থেকে মেঘনাথ পালকে ৫ দিনের নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।