অনবরত চলতে থাকা যুদ্ধ থামাতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ

প্রায় দু মাসের কাছা কাছি পৌঁছাতে চললো দুই দেশের মাঝের যুদ্ধ। ইউক্রেনে যে হামলা চালিয়ে রাশিয়া তার নিন্দায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ। পুতিন বাহিনীর নিন্দা করে দাবি করে হয়েছিল যে, রাষ্ট্রসংঘের সনদের অবমাননা করেছে রাশিয়া। এরপর থেকে অনেক দিন কেটে গিয়েছে। মাঝে বেশ কয়েক বার রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তনিও গুতেরেস। কিন্তু সেই ফোন ধরেননি ‘ক্ষিপ্ত’ পুতিন। এবার সরাসরি রাশিয়া যাচ্ছে তিনি।

সূত্রের খবর, আগামি সপ্তাহে মস্কো যাচ্ছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তনিও গুতেরেস। সেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই সাক্ষাতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ান সর্বেসর্বা নেতা। আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হতে চলেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, কী ভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায় সেই নিয়েই আলোচনা হবে বলে আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে পুতিন তাঁর কথা কতটা শুনবেন বা রাখবেন সেটা এখনও কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। এই মুহূর্তে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশ বা তাদের নিষেধাজ্ঞাকে বিশেষ পাত্তা দেয়নি রাশিয়া। এখন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান বরফ গলাতে পারেন কিনা তাই দেখার।

ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের মারিউপোল শহরকে ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে রুশ বাহিনী কী অত্যাচার করেছে তা সকলের জানা। মহিলা, শিশুদের ধর্ষণ করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে নৃশংসভাবে। তাই যারা সেখানে বেঁচে ছিল তাদের সকলকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মারিউপোল নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি ইউক্রেন। রাশিয়া বাহিনী তার দখল নিয়েছে আগেই। যদিও পুতিন তাঁর বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই শহরে যে ইস্পাত কারখানা আছে সেটা যেন ধ্বংস না করা হয়। সেটার দখল নিতে হবে তাদের।