বিভিন্ন প্রজাতির ফলে ঠাসা দোকান। পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্বকর্মা পূজার বাজারে ক্রেতা শূন্য ময়নাগুড়ি ফল বাজার। ভালো ব্যবসার আশায় প্রত্যেকেই। চূড়ান্ত ব্যস্ততা থাকার কথা গোটা বাজারজুড়ে। কিন্তু বিশ্বকর্মা পূজা আজ বাদে পরশু! কিন্তু এবারের বাজারের চিত্রটা ছিল একেবারে উলটো। মাছি মারার অবস্থা দোকানে দোকানে। “আগের মতো আর সেই বিক্রি নেই” একটাই কথা মুখে মুখে ঘুরছে ব্যবসায়ীদের। এই পুজো কার্যত শারদোৎসবের রূপ নেয় এখানে।
ময়নাগুড়ি শহরে যানবাহন থেকে শিল্প কারখানা সবটাই বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এ বছর বাজার উঠবে বলেই আশা ছিল ফল বিক্রেতাদের। মঙ্গলবার কর্মের দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো। পুজোর আগে ভালো লাভের আশায় থাকেন বাজার ছোটোখাটো ফুটপাথের দোকান থেকে শুরু করে বড় কারবারীরাও। অথচ, সেই ভাবে জিনিসপত্র বিক্রি না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গ্রাম থেকে শহর সব পুজো আয়োজকরা দুদিন আগেই কেনাকাটা শুরু করে দেন কিন্তু এ বছর তা ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফল ব্যবসায়ী দেবজিৎ বলেন, “আগের মত পুজো আয়োজকদের হিরিক নেই! পাঁচ ফল দিয়েই সেরে দেয়।
আগে ৫-১০ কেজি করে একজনে ফল নিয়ে যায়। মানুষের রুচি পরিবর্তন হয়েছে! তাই খিচুড়ি প্রসাদ দিয়েই সেরে দেয়। আগের মত করে ফল ৫-১০ কেজি করে নিয়ে যাবে সেটা আর লক্ষ্য করা যায় না। আরেক ব্যাবসায়ী সুমন দে খা বলেন, ফলের বাজার অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই বেশি রয়েছে। যেহেতু টোটোর সংখ্যা বেড়েছে সেই অনুযায়ী পূজার সংখ্যাও বেড়েছে তাই বাজার অনেকটাই ভালো হবে বলে আশা করছেন।