বড় রকম ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে ভারত৷ ইতিহাসের পাতায় এই প্রথমবার সমকামী বিচারপতি পেতে চলেছে দিল্লি হাইকোর্ট৷ দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি পদে অভিজ্ঞ আইনজীবী সৌরভ কীর্পালের পদোন্নতির সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম৷ সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলছে আইনজীবী মহল৷ কারণ এই প্রথম একজন সমকামী আইনজীবীকে বিচারপতি পদে বসানোর সুপারিশ করল শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম৷ এই সুপারিশ মেনে সৌরভ কীর্পালের বিচারপতি করা হলে প্রথম সমকামী বিচারপতি পাবে ভারত৷
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির পদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের তরফে কীর্পালের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বার্থের সংঘাত৷ বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পাননি কীর্পাল৷ প্রসঙ্গত, কীর্পালের সঙ্গী একজন ইউরোপীয় এবং তিনি সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে৷
২০১৭ সালে প্রথম কীর্পালের পদোন্নতির সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কলেজিয়াম৷ কিন্তু সেই সুপারিশ অগ্রাহ্য করেছিল কেন্দ্র৷ এর পরেও বেশ কয়েকবার তাঁর নাম উঠে আসে৷ কিন্তু প্রতিবারই উন্নতি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়ে যায়৷ ২০১৯ সালে কীর্পালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে কলেজিয়াম৷ অবশেষে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রের যুক্তির স্বপক্ষে তথ্য চেয়ে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে চিঠি লেখেন তৎলীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। এর পরেই ১১ নভেম্বর ফের কীর্পালের নাম সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম৷
দিল্লির স্টিফেন কলেজ থেকে পাশ করার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন সৌরভ কীর্পাল। এর পর কেজব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ দুই দশকের বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারা বাতিলের মামলায় মামলাকারীদের আইনজীবী ছিলেন কীর্পাল।