রাজ্যের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও অন্যদিকে কমছে দেশের সংক্রমনের সংখ্যা। আজ ১০ হাজারের গণ্ডি থেকেও নেমেছে দৈনিক আক্রান্ত। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বাড়ল অনেকটা। আজ ৮ হাজারের আশেপাশে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে একদিনে হঠাৎ অনেকটা মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে! তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৬৫ জন, যা ২৮৭ দিনে সবথেকে কম। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪০১ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের। এই নিয়ে মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৫২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৯৭১ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৮৫ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৯৩ জন, যা ৫২৫ দিনে সবচেয়ে কম।
দেশের মোট সুস্থতার হার ৫.৫১ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৮০ শতাংশ, ৪৩ দিন ধরে ২ শতাংশের নিচে রয়েছে এটি। এদিকে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮৪ হাজার ০৪৫ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৬৯ ডোজ। তবে কেরলের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। সেই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪ হাজার ৫৪৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের।
যদিও বিশেষজ্ঞদের এক নয়া দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এত দিনে আদতে কতজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সরকারি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তা সঠিক নয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাস সংক্রমণে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে!