চারশো দিনের কাছাকাছি পৌঁছাল চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আন্দোলন

কৃষক আন্দোলনের সংখ্যা কেও ছাড়িয়ে গেল এই আন্দোলন। ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকুরিপ্রার্থীদের ধরনা অবস্থান তিন দফা মিলে আজ ৩৮৪ দিনে পড়ল৷ যা দিল্লির উপকণ্ঠে ৩৭৮ দিনের কৃষক আন্দোলনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এই বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ন্যায্য দাবিকে সমর্থন জানালেন৷ অথচ নিজের রাজ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েও দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আজও সুরাহা করলেন না। 

প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি৷ যা  ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করেছে৷ অভিযোগ, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নাম মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি পাননি৷ অথচ মেধাতালিকার পেছনের দিকে থাকা বহু প্রার্থী এমনকি অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদেরও অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশনে বসেছে৷ কিন্তু এখনও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি৷

২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশনের পর ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ এবং ওই বছরই ৮ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। যা আজ ১৬৮ দিনে পড়েছে।