সাধারণ মানুষের লোনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী গেলেন থানায়

অন্যের নামে লোন করিয়ে দিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ধৃত মহিলার নাম শুকতারা বিবি ওরফে শুকতারা বিবি সেখ ও তাঁর স্বামীর নাম হানিফ সেখ। দুজনেরই বাড়ি মেমারি শহরের সুলতানপুরে। অভিযুক্ত মহিলাকে এরমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে মহিলার স্বামীকেও গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

শুকতারা বিবির নামে অভিযোগ স্থানীয়রা মেমারি সুলতানপুরের বাসিন্দাদের। তারা বলেন, শুকতারা বিবি অনেক মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে তাদের নথি জোগাড় করে। এবং বিভিন্ন বেসরকারী লোন প্রদানকারী সংস্থার থেকে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি লোন নেন। যার সামান্য অংশ প্রকৃত গ্রাহকদের দেওয়া হলেও বাকি পুরো অর্থ সে নিজেই আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ।

প্রথম কয়েক মাস সময় মত কিস্তির টাকা জমা দেওয়া হলেও হঠাৎ করে কিস্তি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। লোন প্রদানকারী সংস্থার মাসিক কিস্তি পরিশোধ না হওয়ায় সংস্থার আধিকারিকরা গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে, এরপরেই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতারিত মহিলারা শুকতারা বিবির বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার মহিলারা ঘটনাটি মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ১০ই মার্চ শেখ হানিফকে গ্রেফতার করে এবং মেমারি থানার পুলিস বুধবার শুকতারা বিবিকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।