সদ্য মাত্রই সমাপ্তি হয়েছে উপনির্বাচনের, প্রকাশিত হয়েছে ফলাফলও। ভবানীপুর উপনির্বাচন হয়েছে বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিশেষ ব্যাক্তিকে জয়ী করার জন্য। এই নির্বাচনে খরচ হয়েছে জনগণের কোটি কোটি টাকা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল আজ৷ এদিন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত,ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে৷ নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট বলেছিল, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে তৈরি হল, তা জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে৷ সেই হলফনামা জমা দিতেই হাইকোর্ট চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ ভবানীপুর থেকে একজন প্রার্থী জয় লাভ করেছে৷ অথচ কয়েক মাসের মধ্যে সেই কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি৷ কারণ এই কেন্দ্র থেকে অন্য একজন প্রার্থী হবেন৷ এতে জনগণের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে৷ এই আবেদন নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নির্বাচন কমিশন জানায়,এই ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়ছে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানায়, নির্বাচন কমিশনকে আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তথ্য জমা দিতে হবে৷ ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘একটি আসনের জন্যই সংবিধান আর আইনের বাধ্যবাধকতা? একজন নির্বাচনে জিতে পদত্যাগ করবেন, তাঁর জায়গায় আরেকজন ভোটে দাঁড়াবেন!’ একটি উপনির্বাচন করতে কত টাকা খরচ হয়? কমিশনকে সেই প্রশ্নও করেছিলেন তিনি৷