শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাঁদের জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে একাধিকবার।
সেখানে বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, পরিস্থিতি উত্তেজক হয়েছে, আবার এক মহিলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো পর্যন্ত ছুড়েছিলেন। তাই তাঁদের দুজনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল। সেই প্রেক্ষিতে পার্থ এবং অর্পিতার ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই আর্জি মানা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এবার সশরীরে নয় ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আগামী ৩১ আগস্ট জেল থেকে ভার্চুয়ালভাবেই আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন তাঁরা। মূলত দুজনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জেল কর্তৃপক্ষ ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানিয়েছিল। তা আদালত মঞ্জুর করেছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সশরীরে হাজিরা দিলে তাঁদের নিরাপত্তার যেমন সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনই বাহ্যিক আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। জেল কর্তৃপক্ষের এই আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও প্রায় একই পরিস্থিতি দেখেছেন। তাঁকে দেখেও ‘গরুচোর’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।