রাজনীতির মঞ্চে জল্পনার শুরু কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে

রাজনীতির মঞ্চে নতুন জল্পনার শুরু। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। জাতীয় কংগ্রেস দলে সভাপতির পদ পাচ্ছেন কে? বর্তমানে এই প্রশ্নকে সামনে রেখে কার্যত উত্তাল জাতীয় রাজনীতি।

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে সোনিয়া পুত্র তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী নাকি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তাহলে কি কংগ্রেস সভাপতি পদে এবার অ-গান্ধী কাউকেই নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে? এই নিয়ে জল্পনা শেষ নেই।

এমতাবস্থায় কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে মুখ খুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। সম্প্রতি সর্বভারতীয় সভাপতির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দল সভাপতি পদে সর্বসম্মতভাবে রাহুল গান্ধীকে মেনে নিতে প্রস্তুত। এই দায়িত্ব রাহুল গান্ধীরই নেওয়া উচিত।

তাঁর কথায়, ‘যদি রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি না হন, তবে তা সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অত্যন্ত হতাশাজনক হবে। অনেকেই বাড়িতে বসে যাবেন। দেশের কংগ্রেসী মনোভাবাপন্ন মানুষদের কথা ভেবে রাহুলের নিজেরই এই পদ গ্রহণ করা উচিত।

সর্বসম্মতিক্রমে দল রাহুলের সভাপতিত্বের পক্ষে। তাই আমার মনে তাঁর এই পদ গ্রহণ করা উচিত। এখানে গান্ধী বা অ-গান্ধীর কোনও ব্যাপার নেই, এটা সাংগঠিক বিষয় এবং প্রধানমন্ত্রিত্বেরও কোনও বিষয় নেই।’

অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কারও দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ কিনা সেই প্রসঙ্গে যখন বিস্তর আলোচনা চলছে ঠিক তখনই সোনিয়া-রাহুলদের হয়েই ব্যাট ধরেছেন গেহলট। তিনি বলেন, ‘বিগত ৩২ বছরে এই পরিবার থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তাসত্ত্বেও কেন মোদীজি এই পরিবারকে এত ভয় পান?’

একইভাবে ২০২৩ সালে আসন্ন রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় নিয়েও আশাবাদী গেহলট। তিনি বলেন, ‘আমার নিশ্চিতভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হব এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও জিতব।

এইবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য খেলাটা অত সহজ হবে না। যেভাবে নীতীশ কুমার বিহারে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস পথে নেমেছে, তাতে মোদী সরকার কেঁপে গিয়েছে।’