খালি হাতেই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করলেন সাহসী মহিলা

আবার চা-বাগানে চিতাবাঘের হামলা। চিন্তা বাগোয়ার চা-বাগানে কাঁচা পাতা তুলছিলেন। উনার বয়স ৪৪। হটাৎই একটি চিতাবাঘ তাঁর উপর হামলা চালায়। চিতাবাঘের হামলায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। তবে মহিলা ওই অবস্থাতেই খালি হাতে চিতাবাঘটির সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু করেন। শেষে চিতাবাঘটি চা-বাগানের ঝোপের মধ্যে পালিয়ে যায়। যদিও তারই মধ্যে মহিলার মুখে, পিঠে চিতাবাঘটি থাবা বসিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের নিউ ডুয়ার্স চা-বাগানে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, চা-বাগানের ৫০ নম্বর সেকশনে ঘটনাটি ঘটেছে। চিন্তাকে ছেড়ে চিতাবাঘটি চলে যেতেই আশপাশের শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চা-বাগানের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে বানারহাট সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডুয়ার্সে চা-বাগানে এর আগেও কাজ করার সময়ে চিতাবাঘের আক্রমণের মুখে পড়েছেন এক মহিলা চা-শ্রমিক। আমবাড়ি চা-বাগানে ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে তিনি চা-পাতা তোলার কাজ করতে গিয়ে চিতাবাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। ঘটনার দিন দুপুরে ৫৩ বছর বয়সি সীতা সাউ আমবাড়ি চা-বাগানের এক নম্বর সেকশনে চা-পাতা তোলার কাজ করছিলেন। চা-বাগানের আপার লাইনের বাসিন্দা সীতা সাউ। অনেকের সঙ্গেই তিনি সেই সময় চা-বাগানে কাজ করছিলেন।

তখন চা-বাগানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘটি আচমকাই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এবং চিতাবাঘটি তাঁর মাথায় থাবা বসিয়ে দিয়েছিল। সেদিন যাঁরা কাজ করছিলেন সীতা সাউয়ের সঙ্গে তাঁরা ওই দৃশ্য দেখে সকলে আতঙ্কে চিৎকার জুড়ে দিয়েছিলেন। সেই আওয়াজেই আসলে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। এর পরে সীতাকে উদ্ধার করে সকলে মিলে নাগরাকাটার সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছিল।