শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি ছিল, বাড়ি থেকে টাকা বা এলআইসি কিছুই পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে তিনি অসুস্থ। কিন্তু চেষ্টা করেও জামিন পেলেন না তিনি। আদালত নির্দেশ দিয়েছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা আবার জামিনের আবেদনই করেননি। তিনিও থাকছেন জেলেই।
এদিন জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে। হিমোগ্লোবিন কম। ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেশি। আবার অনেক সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হচ্ছে। তাই এই দিকে নজর দিয়ে তাঁর জামিন হওয়া উচিত।
তবে পার্থর যুক্তি ছিল, তাঁর বাড়ি থেকে তো টাকা বা এলআইসি কিছুই পাওয়া যায়নি। তাহলে তাঁকে জামিন দিতে সমস্যা কোথায়। এমনকি তাঁর এও বক্তব্য ছিল, দরকারে তাঁকে বাড়িতে বন্দি রাখা হোক। কিন্তু তাঁকে যেন জামিন দেওয়া হয়। যদিও আদালত তাঁর আর্জি মানেনি।
গত ২৬ দিন ধরে বাড়ির বাইরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই এদিন যে কোনও মূল্য জামিন চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথা ছিল, তিনি অসুস্থ। এখন প্রভাবশালীও নেই। কোনও পদ নেই তাঁর। দরকারে বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি তিনি। যদিও ইডি প্রথম থেকেই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে এসেছেন।
দাবি করা হয়েছে, আরও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। অন্তত ১০০টি অ্যাকাউন্ট এখনও আতশকাচের তলায়। এছাড়াও তাঁরা জানিয়েছে, জমি কেনার ক্ষেত্রেও ভুয়ো সংস্থার নাম ব্যবহার করা হয়েছিল।