বাংলায় একুশে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে সময় খারাপ যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির। বিজেপি শিবিরের মধ্যে একাধিকবার গন্ডগোল বেঁধেছে। অনেক বিধায়ক এবং নেতা ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছে, তার জন্য অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সংগঠন হারাতে শুরু করেছে পদ্ম বাহিনী। সম্প্রতি আবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রের নির্বাচনেই পরাস্ত হতে হয়েছে তাদের। এরই মাঝে আজ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরো বেশি মাত্রায় প্রকাশ্যে চলে এলো। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কাটোয়ার দাঁইহাটে জেলা কার্যালয়।
বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এই জেলা কার্যালয়। সেখানে বিজেপির কর্মীরা দলীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ভাঙচুর করে কার্যালয়। ভেঙে ফেলা হয়েছে আর এবং ওই কার্যালয়ের অন্যান্য সামগ্রী। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, যখন এই ঘটনা ঘটছে তখন সেখানে উপস্থিত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন মারামারিতে। দলের কর্মীদের একাংশের দলীয় সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে যা কার্যত বড় রকমভাবে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বঙ্গ গেরুয়া বাহিনীকে।
আসলে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান গ্রামীণ জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ এবং দাইঁহাটে নগর কমিটির সভাপতি অনুপ বসুকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় এদিন। বিজেপির দলীয় কর্মীদের মধ্যে কৃষ্ণকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানারকম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছিল কৃষ্ণকে কেন্দ্র করেই। যারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তাদের বক্তব্য যে বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় দলের হারের কারণ এই কৃষ্ণ। তারা আরও অভিযোগ করছে যে নির্বাচনের পর তাদের অবস্থার খোঁজ রাখেন নি দলের শীর্ষ নেতারা। কী ভাবে তারা পালিয়ে পালিয়ে বেঁচে ছিলেন তা কেউ জানতে চায়নি। এই কারণেই বিক্ষোভকারীরা কৃষ্ণের বদলে অন্য কাউকে চাইছেন।