আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাদের জন্য নতুন পদ

বন্ধ হতে চলেছে দীর্ঘদিনের লড়াই৷ ঘোষণা মতো হতে চলছে কাজ৷ এবার চাকরি পাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এদিন চাকরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে। ব্রাত্য জানান, ৫ হাজার ২৬১ টি এসএসসি পদে চাকরি হবে। ২০১৬ সালের পর ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার৷

ব্রাত্য এদিন জানান, শারীর শিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন করে পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। শারীর শিক্ষার জন্য ৮৫০ পদ এবং কর্ম শিক্ষার জন্য ৭৫০ পদ তৈরি করা হয়েছে বলেই জানান তিনি। এই যে নিয়োগ যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দ্রুততার সঙ্গে হবে তা নিশ্চিত করে দেন তিনি এবং এও আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, তিনি মনে করেন যারা চাকরির জন্য রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন তারাও এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে উপকৃত হবে। ব্রাত্যর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় চেয়েছেন তাদের সমস্যার সমাধান করতে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ঘোষণা।

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, একাধিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তির নাম জড়ানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ যার জেরে দীর্ঘদিন থমকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ ২০১৬ সালের পর ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তিনি এসএসসি’কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আসলে ইদের দিনই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন।

চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেন নিয়োগের আশ্বাস৷ আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশ্বাস মেলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা আন্দোলনরত কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তার প্রেক্ষিতেই এই নিয়োগ বলে জানান হয়েছে।  রাজ্য সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের প্যানেলে বিভিন্ন সরকার এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত আরও পাঁচ হাজারের বেশি পদ সৃষ্টি করেছে। ৫ হাজার ২৬১ টি পদ নতুন করে তৈরি করা ছাড়াও ২০১৯ সালে শেষ হয়ে যাওয়া এই প্যানেলের মেয়াদ চলতি বছরের আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী বলেন প্রার্থীদের মেধা, যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।