গুরুতরভাবে অসুস্থ কিম

আবার একবার গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। প্রবল জ্বরে ভুগছেন তিনি। সম্প্রতি কিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দেশবাসীকে এই বার্তাই দিলেন কিমের বোন তথা তাঁর উত্তরসূরী কিম ইয়ো জং।

জানা যাচ্ছে সম্প্রতি দেশবাসীকে দেওয়া এক বার্তায় কিম ইয়ো জানিয়েছেন, ‘গুরুতর অসুস্থ রয়েছেন কিম। জ্বরে তাঁর গা পুড়ে যাচ্ছে। তবে এই অবস্থাতেও উত্তর কোরিয়ার জনগণের কথা ভেবে একেবারেই শুয়ে পড়েননি তিনি।’

এর সঙ্গেই ইয়ো কিমের শারীরিক অসুস্থতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকেই দুষেছেন। তাঁর কথায়, ‘এইসব নোংরা জিনিস এসেছে ওখান থেকেই।’ অন্যদিকে তাঁর এই বক্তব্যে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন প্রশ্ন। তাহলে কি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিম?

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তর কোরিয়াতে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে এই দেশে করোনা ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল বলে জানা যায়। সেই সময় উত্তর কোরিয়ায় করোনার আক্রান্তের পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো উত্তর কেরিয়াকেও লকডাউনের পথেই হাঁটতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরে অবশ্য এই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য সামনে আসেনি।

তবে দিন কয়েক আগেই উত্তর কোরিয়ার স্থানীয় এক সংবাদপত্র দাবি করে এই দেশ নাকি করোনা মহামারীকে ‘জয়’ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারপরেই সামনে কিমের অসুস্থতার খবর।

অন্যদিকে কিমের জ্বর হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গও মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন দেশের বাকি নাগরিকদের মত কিমও হয়তো করোনাতেই আক্রান্ত হয়েছেন।

গত দু’বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। এর আগেই বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে এসেছে কিমের অসুস্থতার খবর। তবে প্রতিবারই সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিয়ে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়কের।

সম্প্রতি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে শিরোনামে এসেছেন কিম। কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা দাবি করে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন নাকি কিমের কাছে এক লাখ সেনা চেয়েছেন।

বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে এনার্জি এবং খাবারের সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া কিংবা মস্কো কোন তরফ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সাহায্যার্থে পর্যাপ্ত সৈন্য পাঠাতে রাজি হয়েছেন কিম।