সন্দীপ রবিবার সন্ধ্যায় আট বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন বলে বের হয়েছিলেন এবং এটাই বলে বের হয়েছিলেন তার স্ত্রীকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্দীপ ২০১৬ সাল থেকে হিসারের বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফিরছিলেন না তিনি। বহু ক্ষণ বাড়িতে না আসায় সোজা স্বামীর অফিসে চলে যান তরুণী। অফিসের দরজা খুলতেই পিতা এবং কন্যার ২ জনের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তিনি। পুলিশের দাবি, নিজের নাবালিকা কন্যাকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন তরুণ। ঘটনাটি রবিবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের হিসার এলাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে। মৃতের নাম সন্দীপ গয়াল,বয়স ৩৫।
পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা এবং রেডিয়োলজি বিভাগের সামনে সন্দীপের স্কুটার দাঁড় করানো রয়েছে, সেটা দেখতে পান তিনি। সন্দীপের অফিসের সামনে গেলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে তিনি দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় সন্দীপ এবং তাঁর কন্যার দেহ পড়ে রয়েছে।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ের গলা সার্জিকাল ব্লেড দিয়ে চিরে খুন করেছেন সন্দীপ। অভিযোগ, একই ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন তিনি। আত্মহত্যার কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে হায়দরাবাদ পুলিশ।