লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে ঘোষিত হয়েছে আসন্ন ভোটের দিনক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন পর্বের অশান্তি, রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল বঙ্গে। নির্বাচন পূর্বেই একের পর এক প্রাণহানি, বেলাগাম হিংসা। এবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের। এই ইস্যুতে হাইকোর্টের রোষের মুখে রাজ্য।
ভোটের আগে ১৫ দিনে ৮ মৃত্যু, তাও বাহিনীতে অনীহা কমিশনের! এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের নির্দেশে শীলমোহর দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদারকিতেই করাতে হবে নির্বাচন। প্রধান বিচারপতি বড় নির্দেশ, ‘কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারলে পদ ছেড়ে দিন কমিশনার। না পারলে পদ ছাড়ুন, নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল।’ নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
কোর্টের নির্দেশের পর কার্যত চাপে পড়ে পঞ্চায়েত ভোটে জেলাপ্রতি মাত্ৰ ১ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। যেখানে একদফায় গোটা রাজ্যে এত বড় নির্বাচন, সেখানে ১ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় বাহিনী দিয়ে কতটা নিরাপত্তা, সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব! এই প্রশ্ন তোলে আদালত।