রাত পোহালেই ভাইফোঁটা। ভাই বা দাদার কপালে ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি থালায় মিষ্টি সাজিয়ে দেন বোন কিম্বা দিদিরা। আর তাই একদিন আগে শনিবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া শহরের মিষ্টির দোকান গুলিতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আর দাদা-দিদিদের হাতে পছন্দের মিষ্টি তুলে দিতে তৈরী মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও।
সাম্প্রতিক সময়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ফলে এবার ভাইফোঁটায় ‘সুগার ফ্রী’ মিষ্টির চাহিদা বেশ ভালোই, বলছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই। শহরের ভৈরবস্থানে একটি নামী মিষ্টির দোকানে ভাইয়ের পছন্দের মিষ্টি কিনতে আসা সুচরিতা কণ্ডু, জয়শ্রী নন্দী, অন্তরা নন্দী-রা বলেন, এখন সেভাবে বেশী মিষ্টি কেউই সেভাবে পছন্দ করেননা, তবে ভাইফোঁটার মতো আনন্দোৎসবের দিনে মিষ্টি ছাড়া সবই যেন অসম্পূর্ণ। ফলে মিষ্টির দোকানে ছুটে আসা। একটি বছরের অপেক্ষার অবসান, তাই তাঁরা প্রত্যেকেই ভাইয়েদের পছন্দের মিষ্টিটি পাতে তুলে দিতে বেশী আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী জয়দেব চক্রবর্ত্তী বলেন, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে তাঁর দোকানে অন্তত দু’শো রকমের মিষ্টি তৈরী হয়েছে। তার মধ্যে চকোলেট, মালাই, বাটার দিয়ে তৈরী মিষ্টির পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরণের ‘সুগার ফ্রী’ মিষ্টিও রয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার ‘মঙ্গল ঘট’ মিষ্টি তৈরী করা হয়েছে। ভাইয়েদের মঙ্গল কামনার কথা ভেবেই এই মিষ্টি তৈরীর ভাবনা বলেও তিনি জানিয়েছেন।