প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, তদন্তকারীর তালিকায় অনুব্রতর মেয়ে

একের পর এক নাম জড়িত হচ্ছে হিংসা মামলায়৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও দুই বিধায়ককে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই৷ ওই দুই বিধায়ক কেষ্ট ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত৷ দুর্গাপুরে এনআইটি’র অস্থায়ী গেস্ট হাউসে সিবিআই-এর অস্থায়ী দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত-কন্যার কললিস্ট৷ 

এদিন বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা এবং পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহানওয়াজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ মূলত ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নিয়েই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ তাঁদের৷ 

এদিকে, সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের মোবাইল নম্বর চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অন্য একটি নম্বর থেকে একাধিক বার্তা পাঠিয়েছিলেন অনুব্রত৷ সেখান থেকে বেশ কিছু নম্বরে ফোন করে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রত এইসব লোকের সঙ্গে অন্য ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখতেন। এবং সেই ফোন তাঁর কোনও ঘনিষ্ঠ জনের। সেক্ষেত্রে সবার আগে অনুব্রতর মেয়ের ফোনের দিকেই সন্দেহের তির সিবিআই-এর৷   

গত বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করে হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার সন্ধেয় কলকাতায় চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তিনি। পরেরদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে৷ টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ম্যারাথম জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, ভোটের ফল প্রকাশের দিন ইলামবাজারের রাজনৈতিক খুন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে অনুব্রতকে৷