আজ থেকে বিগত দু বছর আগে চিনেই উৎপত্তি ঘটে করোনা সংক্রমণের৷ চিন ই হলো করোনা সংক্রমনের আঁতুরঘর, এরপর তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পরে৷ এই করোনার জেরে মারা গেছে বহু মানুষ৷ এই পরিস্থিতিতে একে করোনায় রক্ষে নেই, দোসর আরও ১৮ রকমের ভাইরাস৷ যাদের আঁতুর ঘর হল চিন৷ সামুদ্রিক প্রাণির বাজার থেকে সার্স বা কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত আগেই মিলেছে৷ নয়া সমীক্ষায় উঠে এল আরও এক ভয়ঙ্কর তথ্য৷ জানান গিয়েছে, কোভিড-১৯ হিমশৈলের চূড়ামাত্র৷ আরও অসংখ্য জীবানু রয়েছে চিনের মার্কেটে৷ যা থেকে হতে পারে আরও ভয়াবহ অতিমারি৷
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এক ডজনেরও বেশি প্রাণী চিনের খোলা বাজারে বিক্রি হয়৷ এগুলি দিয়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নানাবিধ পদ রান্নাও করা হয়৷ কিন্তু এই সকল প্রাণির শরীর থেকে ৭১ রকম ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। যা স্তন্যপায়ীদের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। এর মধ্যে ১৮টি ভাইরাস আবার মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি বলেও জানানো হয়েছে।
গবেষক এডওয়ার্ড হোমস জানিয়েছেন, ‘‘এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, বণ্যপ্রাণীর ব্যবসা ও খোলা বাজারে তাদের বিকিকিনি যে কোনও সময় অতিমারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে।” গত দেড় বছরে বদলে গিয়েছে গোটা বিশ্বের রূপ৷ চিনের ইউহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস গ্রাস করে গোটা পৃথিবীকে। দেশে দেশে চলেছে মৃত্যু মিছিল৷ অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতি৷ বেড়েছে বেকারত্ব৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, এখন থেকে সাবধান না হলে আামী দিনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে৷