নিয়ন্ত্রনে দেশের করোনা গ্রাফ

চড়াই উৎরাই লেগেই রয়েছে দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফে। তবে এই মুহূর্তে সামান্য বাড়ল সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বস্তি বজায় থাকল আজকে দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে। গতকালের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও বিরাট স্বস্তি দিচ্ছে, গতকালের থেকেও তা কমেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে বিগত কিছু দিন ধরেই করোনা গ্রাফ কার্যত একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে দেশে। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়ে। এরই মাঝে আবার শুরু হয়েছে সকলের জন্য বুস্টার টিকাকরণ।

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৫ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৪ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ৭৯৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ০৭ হাজার ৮৩৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৬। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৪৭ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৬ কোটি ৩৮ লক্ষের বেশি ডোজ। ইতিমধ্যে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথেই।

ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে সকলের জন্য বুস্টার টিকাকরণ। এই বুস্টার ডোজ নিতে গেলে আগের দুটি ডোজের টিকা নিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার ৯ মাস পর এই বুস্টার ডোজের টিকা নেওয়ার নিয়ম বলেই জানান হয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা নিয়েছিলেন, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ পাবেন ব্যক্তি। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেই টিকাই পাবেন। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে।