বাংলায় উদ্ধার কয়েক কোটি কোটি টাকা৷ গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এরই মাঝে আবার একবার বিপুল নগদ অর্থ সহ বাংলা থেকে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেসি বিধায়ক। প্রকাশ্যে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতেই টাকা নিয়েছিলেন কংগ্রেসের তিন বিধায়ক। তাঁদের কাছ থেকে ৪৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধারের পর এমনটাই জানাচ্ছে সিআইডি৷ হাওড়া থেকে ধৃত ওই তিন কংগ্রেস বিধায়কের অসম যোগ নিয়েও উঠে আসছে বিস্ফোরক দাবি৷
সিআইডি সূত্রে দাবি, ২০ জুলাই গুয়াহাটি গিয়েছিলেন ২ বিধায়ক ইরফান আনসারি এবং রাজেশ কাচ্ছাপ৷ ২৯ জুলাই কলকাতায় ফেরার পর ফের গুয়াহাটি যান ৩ কংগ্রেস বিধায়ক৷ এর মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ওই ৩ বিধায়ক দেখা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে৷ তাঁদের মধ্যে টাকা নিয়েও কথা হয়৷
প্রাথমিক ভাবে টাকা চাইতে লালবাজারের উল্টোদিকে এক ব্যবসায়ীর অফিসে দেখা করতে বলা হয় তাঁদের৷ শনিবার ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় ফিরে সদর স্ট্রিটে যান কংগ্রেস বিধায়করা৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেখানে বিধায়কদের গাড়ির ডিকি খোলা৷ কিছু ঢোকানো হয় ডিকিতে৷ কী রাখা হয়েছিল সেখানে?
খতিয়ে দেখছে সিআইডি৷ সেই সঙ্গে সদর স্ট্রিটের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাওয়ালা যোগ রয়েছছে বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ এদিকে, তিন কংগ্রেস বিধায়ক গ্রেফতারের পর থেকে খোঁজ নেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর৷ ওই ব্যবসায়ী শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেও জানতে পেরেছে সিআইডি৷
ওই ব্যবসায়ীর এক আত্মীয়কে কিছুক্ষণ আগে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ সরকার ফেলার পরিকল্পনা সফল করতে আরও ১৩ জন বিধায়কের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর৷ দল ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে তাঁদের টাকার অফার করা হয়৷
সিআইডি সূত্রে খবর, কংগ্রেস ছাড়াও এই দলে রয়েছেন জেএমএম দলের বিধায়করা৷ ৩০ তারিখ দুপুরের গুয়াহাটি থেকে ফেরার পর সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলের রুমে ওঠেন তিন বিধায়ক৷ সেখান থেকে তাঁরা পানশালায় যান৷ তাঁদেরই এক সঙ্গী, যুব কংগ্রেসের নেতা প্রতীক কুমার সেখানকার এক হোটেলকর্মীর কাছ থেকে স্কুটার নিয়ে চলে যান লালবাজারের কাছে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করতে৷ তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসেন এই প্রতীক৷ ইতিমধ্যেই প্রতীককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ৷