সুপার নিউমেরিক পদ নিয়ে কীভাবে তদন্ত হবে তা নিয়ে নিজাম প্যালেসে আলোচনায় বসেছেন সিটের তদন্তকারী অফিসাররা। এই বিষয়টি নিয়েই এখন তৎপর সিবিআই। কীভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে তদন্ত চলবে, সেটা নিয়েই আলোচনায় বসেছেন আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে,রাজ্যের কাছেই তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, কীভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি হল? এই পরিকল্পনা কার? মন্ত্রিসভায় তৈরি হওয়ার আগে নথিপত্র কোথায় তৈরি হল? সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? এই বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইবে তদন্তকারীরা। এদিকে, এদিনই আবার এসএসসি এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সেদিকেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবারই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বড় রায় দিয়েছে । ২০১৬ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে আদালত। ২০১৬ সালের নিয়োগে ১৭ রকমের বেনিয়ম হয়েছে বলে নির্দেশ নামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল সুপার নিউমেরিক পোস্ট। অর্থাৎ যত পদ ছিল, তার থেকেই অনেক বেশি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ করা হয়েছিল। আদালতে এও উল্লেখ হয়েছে, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ বেআইনিভাবে নিযুক্তদের চাকরি বাঁচাতে অতিরিক্ত পদ বাড়ানোরও আবেদন করেছিল এসএসসি।
বিচারপতি এই সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে এও বলেছেন, শিক্ষা ও অর্থ দফতরের উচ্চ পদস্থ কর্তা ও আধিকারিকরা তাতে জড়িত থাকতে পারেন। তা না হলে এইভাবে অতিরিক্ত পদ বাড়ানো সম্ভব নয়। এসএসসি-র তরফ থেকে কারা আবেদন করেছিল, সেটাই জানার উদ্দেশ্যে রয়েছে আদালত। আর সেই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই-কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজন পড়লে সরকারি আধিকারিকদের হেফাজতে নিয়েও জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, যাঁরা বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরকেও জেরা করা হবে। সেটি আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।