বুস্টার ডোজ দেওয়া শেষ হলেই লাগু হবে CAA, স্পষ্ট বার্তা অমিত শাহের তরফে

গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এখনও কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি। রোগের জ্বালায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অতীতে গোটা দেশজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর করা প্রসঙ্গে মতপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

করোনা মহামারীর কারণে নাগরিকত্ব আইন বলবৎ পিছিয়ে যায়। তবে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুনরায় একবার সিএএ নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করে বসলেন শাহ। অমিতের দাবি, “দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শেষ হতেই সিএএ কার্যকর করা হবে।”

এদিন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি উড়ে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, বৈঠক শেষে শাহ আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, দেশে একবার বুস্টার ডোজ প্রদান সম্পন্ন হলেই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেই সরকার দ্বারা এ আইন লাগু মাস্টারস্ট্রোক হতে চলেছে। এখন প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের পর অবশেষে কবে থেকে CAA আইন কার্যকর করা শুরু হবে?

বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে করোনার বুস্টার টিকা দেওয়া হচ্ছে, যা শেষ হতে এক বছরের কাছাকাছি সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে শেষপর্যন্ত সিএএ-র ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে, সেটাই দেখার।

সূত্রের খবর, এদিন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়কালে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এর মাঝেই প্রাধান্য পায় নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের বিষয়টি। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সিএএ আইন কার্যকর করা প্রসঙ্গে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষোভ জন্ম নেয় বাংলার মতুয়া সম্প্রদায় মাঝে।

এমনকি, বিজেপি এমপি শান্তনু ঠাকুরও দল থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। এর মাঝেই CAA আইন প্রসঙ্গে শাহের আশ্বাস মতুয়া সম্প্রদায়ের সকলকে স্বস্তি দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এদিনকার আশ্বাসের পর অবশেষে নাগরিকত্ব আইনের ভবিষ্যৎ কি হয়?

প্রসঙ্গত, এদিন সিএএ ছাড়াও বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-শুভেন্দুর ভিতর। সূত্রের খবর, অমিত শাহের সাথে শুভেন্দুর আলোচনায় এদিন উঠে আসে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলা ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সম্পত্তি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কিভাবে রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলা যায় সেই বিষয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ১০০ জন নেতার নামও শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে আসে। এমনকি, তাদের নামের তালিকা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিরোধী দলনেতার তরফে তুলে ধরা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এদিনকার বৈঠক বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।