এই মুহূর্তে দেশের সংক্রমনের গ্রাফে মিলছে বড়ো স্বস্তি। কারণ দৈনিক সংক্রমণ তুলনায় কম হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাতেও বড় পরিবর্তন। সব মিলিয়ে বিগত কিছু দিন ধরেই করোনা গ্রাফ কার্যত একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে দেশে। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়ে। এরই মাঝে আবার করোনার ‘এক্সই’ প্রজাতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬১ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ৯২৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ০৩ হাজার ৩৮৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ০৫৮। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৬৯১ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৫ কোটির বেশি ডোজ। ইতিমধ্যে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথেই।
এদিকে চিনে করোনার ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়ে রয়েছে। এছাড়াও ব্রিটেন, জার্মানি সহ ইউরোপের একাধিক দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। তাই ভারত সরকার কোনও রকম ঝুঁকি নিতেই চাইছে না। এখানেও যে পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে খারাপ হতে পারে সেই আশঙ্কা করেই কেরল, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, হরিয়ানা, এই পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করেছে তারা। গোটা দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য এখনও করোনা আক্রান্তের শীর্ষের দিকেই রয়েছে। তাই তাদের সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।