জেলের কোন ঘরে ঠাই হলো অর্পিতার

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি-র আবেদন মেনে শুক্রবার এসএসসি-কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট৷

শুক্রবার রাতেই তাঁদের নিয়ে আসা হয় জেলে৷ পার্থকে রাখা হয় প্রেসিজেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেলে৷ অর্পিতার ঠাঁই হয় আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। দক্ষিণ কলকাতার বিলাসবহুল আবাসনের ঠান্ডা ঘর ছেড়ে গরাদে রাত কাটে তাঁর

জানা গিয়েছে, আলিপুর মহিলা জেলের ২ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এই ঘরটি অনেকটা হল ঘরের মতো৷ সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় এক সময় আলিপুর জেলের এই ঘরেই আবাসিকদের বিউটিশিয়ন কোর্স শেখাতেন৷ সেই ঘরই রাখা হয়েছে অর্পিতাকে।

সংশোধনাগার সূত্রে খবর, শুক্রবার জেলে পা রাখার পরই হতাশা গ্রাস করে অর্পিতাকে। আদালত থেকে বেরোনোর পর থেকেই থমথমে ছিল তাঁর মুখ৷ রাতে সেলে কান্নাকাটিও করেন তিনি। রাতের খাবার মুখে তুলতে চাননি। কিন্তু সকালে আর খাবার ফেরাননি। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ পাশাপাশি উদ্ধার হয় প্রচুর সোনা, বিদেশি মুদ্রা, একাধিক বাড়ি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ সম্পত্তি৷

এই বিপুল সম্পত্তি দেখে তাজ্জব গোটা রাজ্যের মানুষ৷ প্রায় দু’সপ্তাহ ইডি হেফাজতে থাকার পর শুক্রবারই আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ইডি চাইলে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অর্পিতাকে৷ 

অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে তাঁকে। এক বোতল মিনারেল ওয়াটার ছাড়া আলাদা ভাবে কিছুই দেওয়া হয়নি তাঁকে৷ রাত মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুতে হয় তাঁকে৷ পার্থ যে পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সেলে রয়েছেন, সেখানে ২২ জন বন্দি থাকতে পারেন। এটি নিরাপত্তার দিক থেকে সবার্ধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড।