এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। উত্তাল পরিস্থিতি দেশের, চারিদিকে হা হা কার পরিস্থিতি। এবার শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোও ভেঙে পড়েছে। বিদেশি মু্দ্রার ভাণ্ডার শেষের দিকে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিলাসজাত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইসলামাবাদ। ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্যের পতন হয়েছে। এক ডলার কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে ২০০ পাকিস্তানি রুপি।
করোনা মহামারী, অপশাসন, উৎপাদিত পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ায় পাকিস্তানে অর্থনৈতি সঙ্কট দেখতে পাওয়া যায়। যার জেরে ব্যাপকহারে মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকে। বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় শূন্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশ থেকে বিলাসজাত পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম ঔরঙ্গজেব জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই বিলাসজাত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার সীমিত। তবে পা সরকার ওষুধ বা জ্বালানী সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েকমাস ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ভালো নয়। ইমরান সরকারের আমলেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফিতী দেখতে পাওয়া যায়। পাকিস্তান জুড়ে রাজৈনিতক ডামাডোল সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানে ইমরান সরকারের পতন হয়। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শুক্রবার ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্যের ব্যাপক পতন হয়। ডলার প্রতি মূল্য দাঁড়ায় ২০০ পাকিস্তানি রুপি।
এই পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার বিলাসজাত দ্রব্যের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানির ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। গাড়ি, মোবাইল, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, বিলাসবহুল ম্যাট্রেস ও স্লিপিংব্যাগ, বিলাসী চামড়াজাত পোশাক ইত্যাদি বিলাসজাত দ্রব্যের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি করা হয়েছে। পাক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দুই মাস এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এরপর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।