রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক নয়া প্রকল্প নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার৷ বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক চাপে পড়েছে নবান্ন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে পেরেছেন, তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছে নতুন পালকও৷ বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়নে শুরু থেকেই অনীহা ছিল রাজ্য সরকারের৷ সরকারের অবশ্য বক্তব্য ছিল, রাজ্যেই যখন সমতুল প্রকল্প রয়েছে তখন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রয়োজন কী! কিন্তু টান পড়েছে ভাঁড়ারে৷ কোষাগারের সেই চাপ সামাল দিতে গিয়েই এখন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে চালু প্রকল্পগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি দফতর থেকে সেই ইঙ্গিতও মিলেছে৷
এখন প্রশ্ন হল, বেশির ভাগ কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই তো প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে৷ তাহলে সেই সকল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নিলে মোদীর ছবিও রাখতে হবে, তাতে রাজি হবে তো রাজ্য সরকার? যদিও সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ আমলাদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নবান্ন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অংশীদারি গ্রহণ করার বিষয়টি বরাবরই নবান্নের অনুমোদনের উপর নির্ভর করত৷ সেই পদ্ধতি যে একেবারেই অবলুপ্ত হয়েছে, তেমনটা নয়। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন দফতরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য-পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বড় অংশীদারি গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, যে সকল ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সাহায্য পাওয়া যাবে, তা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই৷ কারণ কেন্দ্র নিজের টাকা দেয় না৷ রাজ্যগুলি থেকে আদায় করা করের টাকার ভাগ দেয়৷