আফগানিস্থানে তালিবান দখলের পর থেকে বার বার প্রশ্ন উঠেছে সেখানকার মহিলাদের অস্তিত্ব নিয়ে। এরই মাঝে আফগানিস্থানে নতুন তালিবান সরকার বলেছে, নারীদের ‘শরিয়া আইনে’র সীমার মধ্যে কাজ ও পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ঘাইরাতকে দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যদিও তাঁর একাডেমিতে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাত বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘প্রকৃত ইসলামিক পরিবেশ’ না ফিরছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারীরা আসতে পারবে না। এই মাসের শুরুর দিকে ছেলেদের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মেয়েরা এখনও ক্লাসে ফিরে যায়নি। তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে কোন নারী নেই।
তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায়। শেষবার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তারা। নারীদের শরিয়া বা ইসলামী আইনের সীমার মধ্যে কাজ করার এবং পড়াশোনার অনুমতি দেওয়ার ইঙ্গিত তারা আগে দিয়েছিল। অনেকে বলেছিল, তালিবানরা তাদের পূর্বের অবস্থানকে নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছে। নতুন ভাবে ক্ষমতা পাওয়ার পর, এখনও পর্যন্ত নারী স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার কোনো পদক্ষেপ নেই। এবারে এখনও নারীরা গৃহবন্দি।