শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের। প্রারম্ভ হয়েছে পূজার। এই উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের আশঙ্কা রয়েছে। এই সময় বাড়তে পারে নাশকতা। এই পরিস্থিতিতে এবার পুজোয় জঙ্গিহানা বা নাশকতার আশঙ্কা এড়াতে রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দিয়েছে। পুজোর সময় রাস্তা ও মণ্ডপে কোভিড বিধি কার্যকর করার কাজে ব্যস্ততার কারণে জঙ্গি ও অপরাধমূলক কাজ কর্ম রোখার কাজ যাতে ব্যাহত না হয় সেকথা স্মরণ করিয়ে দিতেই এই সতর্ক বার্তা বলে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন গোটা রাজ্যে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
পুজো কমিটিগুলোকে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম ও তালিকা তৈরির পাশাপাশি সন্দেহভাজদের উপর নজর রাখতেও বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিনের বেলাতেও বেশি পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছে। কিছু দিন আগেই দিল্লি থেকে ৬ জন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছিল। আবার জানা গিয়েছিল যে, আরও অনেক ‘বাংলাভাষী’ জঙ্গি পলাতক, তাদের খোঁজ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এদিকে, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জেরা করে জানা গিয়েছিল যে, তারা বড় শহরগুলিতে নাশকতার ছক করেছিল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, জঙ্গি হানার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে পুজোর মরশুমে। বাংলায় দুর্গাপুজো ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যেও একাধিক উৎসব রয়েছে। তাই সাবধান থাকতেই হচ্ছে সকলকে। উল্লেখ্য, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। তাই এই নিয়েই আলাদাভাবে সতর্ক থাকতেই হবে প্রশাসনকে।