রবিবার দিনের প্রথম ম্য়াচে মুম্বই-দিল্লি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল। টস হেরে মুম্বই ব্য়াট করতে নেমেছিল। আর রোহিত শর্মা ও ঈশান কিশান মিলে ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, তাঁরা কাউকে পাওয়ারপ্লে-তে রেয়াত করবেন না। সাত ওভার ক্রিজে থেকে তাঁরা তুললেন ৮০ রান। রোহিত ২৭ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন, ঈশান ২৩ বলে ৪২ করে আউট হন। হার্দিক চারে নেমে খেলেন ৩৩ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তবে ছয়ে ও সাতে নেমে ধ্বংসলীলা চালালেন টিম ডেভিড ও রোমারিও শেফার্ড। ১৩ বলের যুগলবন্দিতে এসেছে ৫৩। দু’জনেই থাকলেন অপরাজিত।
উইন্ডিজ ব্য়াটার রোমারিও শেফার্ড লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন। মাত্র ১০ বলের ধ্বংসলীলায় তাঁর ব্য়াট থেকে এল ৩৯ রান। অ্যানরিক নোকিয়ার শেষ ওভারে তিনি বেছে নেন বেদম প্রহারের রাস্তা। শেষ ছয় বলে ৩২ রান এসেছে তাঁর ব্য়াট থেকে। ওভার সাজালেন ৪,৬,৬,৬,৪,৬ রানে। এই শো দেখে সাজঘরে থাকা সচিন তেন্ডুলকর, হার্দিক ও সূর্য থ হয়ে যান। হার্দিকের অভিব্য়ক্তিও ভাইরাল হয়ে যায়। আইপিএল ইতিহাসে এক ওভারে সর্বাধিক রান করা ব্য়াটারদের তালিকায় ছয়ে চলে এলেন রোমারিও। মুম্বই ২০ ওভারে তোলে পাঁচ উইকেটে ২৩৪ রান।
যে রান করেছিল মুম্বই এদিন তা নিঃসন্দেহে তাড়া করে জেতা যে কোনও দলের পক্ষেই রীতিমতো চ্য়ালেঞ্জের। দিল্লি সাধ্য় মতো চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত আট উইকেটে ২০৫ রান তুলতে পেরেছিল। ওপেনার পৃথ্বী শ ৪০ বলে ৬৬ রান ও চারে নামা ট্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে অপরাজিত থেকে ৭১ রান করে এদিন দারুণ ব্য়াট করেন। বাংলার ছেলে অভিষেক পোড়েলও ৩১ বলে মনকাড়া ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। মুম্বই এই ম্য়াচের আগে লিগ তালিকায় ছিল সবার শেষে। তবে এই জয়ের সুবাদে তারা ১০ থেকে উঠে এল আটে।