এই মুহূর্তে টালমাটাল পরিস্থিতিতে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীর গদি আগেই হারাতে হয়েছে, এবার কি দলের নিয়ন্ত্রণও পুরোপুরি চলে যাবে উদ্ধব ঠাকরের হাত থেকে? এমনটা হলে হয়তো অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
শিবসেনা কার, এই নিয়ে এখন নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে একনাথ শিন্ডে এবং উদ্ধব ঠাকরের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে খুব শীঘ্রই। তবে পরিস্থিতি যা তাতে আদালতে খুব একটা সুখ পাবেন না উদ্ধব।
দলের মধ্যে যে বিরোধী সৃষ্টি হয়েছিল তাতে উদ্ধব ঠাকরেকে গদি ছাড়তে হয়েছে। একনাথ শিন্ডে ‘নতুন’ শিবসেনার শুরু করেছেন যেন। যেভাবে একে একে বিধায়ক উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গ ছেড়েছেন তাতে একনাথের পাল্লা আদালতে এমনিতেই ভারি। শিবসেনার দখল কে নেবেন তা এখন আদালতের বিষয় হলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এক্ষেত্রেও জিতবেন একনাথ।
দলের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রয়োজন হতে পারে বৃহত্তর বেঞ্চের, এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে শীর্ষ আদালত। তাই লড়াই যে খুব একটা সহজ তা নয়। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মোট ছ’টি আবেদনের শুনানি হয়েছে যার মধ্যে পাঁচটি আবেদন করেছিল উদ্ধব শিবির।
আদালতে উদ্ধব শিবির পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, যেভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক এবং লজ্জাজনক ব্যাপার। সংবিধানের যেভাবে অপমান করা হয়েছে তা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এর পাল্টা দিয়েছে শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নিজের বিধায়কদের ধরে রাখতে পারেননি, তারা এই মুখ্যমন্ত্রীকে চাননি। স্বেচ্ছায় সকলে বেরিয়ে এসেছেন। দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট আগামী ১ অগাস্টের আগে দুই শিবিরের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছে।