ওমিক্রনকে রুখতে উৎসস্থলে WHO-র দল

বছর শেষে বাড়ছে নতুন সংক্রমনের আতঙ্ক। শুরুটা হয়েছে এখান থেকেই তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই মিলবে বলে নিশ্চিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির ব্যাপারে বিশদে জানতে সে দেশে পৌঁছল তাদের বিশেষজ্ঞ টিম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যেই দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। শুধুমাত্র গতকাল সে দেশে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ তাই অবশ্যই উদ্বেগ বাড়ছে।

এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস কতটা বেশি সংক্রামক এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেমন নিয়ম বিধি পালন করা উচিত তা বুঝতেই দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল। মূলত যে প্রদেশ এই ভাইরাস সবথেকে বেশি ছড়িয়েছে সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করবে তারা এবং দাবি করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই নতুন প্রজাতির রূপ চিহ্নিতকরণ হয়ে যাবে।

গত মাসের শেষের দিকেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই নতুন প্রজাতির ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে যা এখন পৃথিবীর একাধিক দেশে পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই নতুন প্রজাতির অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। যদিও উপসর্গ এবং এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্কা কতটা সেই ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে এখনো কিছু তথ্য মেলেনি। এখনো পর্যন্ত ৩০ টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তাদের মধ্যে রয়েছে ভারত।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই প্রজাতির সংক্রমণ শুরু হলেও সেই দেশে কবে এর খোঁজ মিলেছে সেটাও এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ সেই দেশের চিকিৎসা মহল প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে যে এই প্রজাতির কারণে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ একদম ন্যূনতম। বিরাট কিছু অস্বস্তি বা সংকটের কিছু মেলেনি এখনও। তাই মনে করা হচ্ছে আগেও হয়তো এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন তাই প্রথমে ব্যাপারটা এতটা সামনে আসেনি। কিন্তু এখন খুব দ্রুততার সঙ্গে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে যা আতঙ্ক এবং উদ্বেগ দুটোই বাড়িয়ে দিচ্ছে।

Leave a Reply