বাড়তে থাকা মাঙ্কিপক্স নিয়ে কি বলছে গবেষণা

বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে দেশে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আশঙ্কা জাগছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা দিতে পারে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়। এই দুশ্চিন্তাকর পরিস্থিতির মাঝেই আবার নতুন ভয় জাগছে মাঙ্কিপক্স নিয়ে। এবার বিশ্ব জুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম ‘মাঙ্কিপক্স’। ইতিমধ্যেই আমেরিকা সহ ইউরোপের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। শেষ ১০ দিনে ১২ দেশে হানা দিয়েছে এই ভাইরাস, আক্রান্ত হয়েছে ৯২ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসেনি। এটাই আপাতত স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু এই রোগের কারণে কি মৃত্যু হতে পারে? কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে এই অসুখ? এই সব প্রশ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকলকে।

গবেষণা বলছে, এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা কম। এতদিনে যাদের সংক্রমিত হওয়ার খবর এসেছে তাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। আবার অনেকের উপসর্গ মৃদু। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এই রোগ অতটাও ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে যাতে ‘মাঙ্কিপক্স’ কখনই ভয়ানক আকার ধারণ করতে না পারে। গবেষকদের একাংশ বলছে, স্মলপক্সের থেকে এই রোগের ভয়াবহতার পরিমাণ কম হলেও চিকেন পক্সের থেকে বেশি। কিন্তু যাদের সাধারণ পক্সের টিকা নেওয়া তাদের মধ্যে এই রোগের ভয়াবহতা কমই। পাশাপাশি সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে যৌনসম্পর্ক থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ বাড়ছে। তাই এই ধরণের সম্পর্কে যারা আছেন তাদের সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

তবে মনে করা হচ্ছে, খুব দ্রুত গতিতে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। যদিও করোনার মতো দ্রুত হারে এই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। এই রোগ নিয়ে আরও বেশি ভয় বাড়ছে কারণ, অন্যান্য পক্সের তুলনায় এটি নতুন এবং অপরিচিত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের তুলনায় এটি বিরল এবং এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি চিকিৎসকদের জানা নেই। তাই কেউ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে কী করা উচিত তা নির্ধারণ করতে করতেই অনেক সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।