সুগারের রোগীদের কি কি ফল খাওয়া উচিত যাতে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে?

ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই খাওয়া-দাওয়ায় খুব সাবধানতা বজায় রাখতে হয়। মিষ্টির পাশাপাশি একাধিক খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা তাজা শাকসবজি, ফল এসব খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আবার সব ধরনের ফলও খাওয়া যায় না ডায়াবেটিস থাকলে। যেমন এই গ্রীষ্মকালে পাকা আম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে সব ফলে শর্করার পরিমাণ বেশী, সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের না খাওয়াই ভাল।

আপেল: আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজনকেও বশে রাখে এই ফল। তাছাড়া আপেল হজমজনিত সমস্যাও দূর করে।

তরমুজ: এই গরমে তরমুজের বিকল্প হয় না। ৯০ শতাংশ জলে ভরপুর, এই গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে তরমুজ সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজে শর্করার পরিমাণও কম। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে তরমুজ সাহায্য করে।

শসা: তরমুজের মতো শসাতেও জলের পরিমাণ বেশি থাকে। শসা খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং, এই গরমে শসা খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপের মধ্যে চিনির পরিমাণ খুব কম। পাকা পেঁপে ভীষণ উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য। পাকা পেঁপে হজমজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক। মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে পাকা পেঁপে। ডায়াবেটিসের রোগীরা ওবেসিটির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পাকা পেঁপে খেতে পারেন।

কলা: ফাইবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে কলার মধ্যে। সুগারের রোগীরা নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপও।

লেবুজাতীয় ফল: এই মরশুমে কমলালেবু পাওয়া যাবে না। তবে, পাতিলেবুর রস, মুসাম্বি লেবু ডায়াবেটিসের রোগীরা ইত্যাদি খেতে পারেন। লেবুর রসে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।