রাজ্যে একটু দেরি করে এলেও দেশ প্রবেশ হয়েছে বর্ষার। আর বর্ষা আসা মানেই ইলিশ। ইতিমধ্যেই বাজারে নানান সাইজের ইলিশের দেখা মিলছে। দীঘা এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে বিপুল ইলিশ বাজারে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পদ্মার ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। তখন, বাজারে আরও বৃদ্ধি পাবে ইলিশের পরিমাণ। যেগুলির ওজন শুরু হবে ৯০০ গ্রাম বা ১ কিলো থেকে।
যদিও, বর্তমান সময়ে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির তেমন প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে, বৃষ্টির সাথে কিন্তু ইলিশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠে যত বেশি বৃষ্টি হবে তত বৃদ্ধি পাবে তাজা জলের পরিমাণ। যার ফলে খোকা ইলিশের ওজন এবং স্বাদ উভয়েই বৃদ্ধি পায়। ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল হিলসা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের জালে এখনও পর্যন্ত যে ইলিশগুলি উঠছে সেগুলির গড় ওজন হল ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।
পদ্মার ইলিশ আসার আগে আপাতত মায়ানমারের বরফে মোড়া ইলিশ দিয়েই “দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন” ক্রেতারা। এমনকি, ইতিমধ্যেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশ। গড়িয়াহাট মাছ বাজারে এগুলি বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকায়।