অবশেষে অবসান ঘটলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার৷ এবার দেশে পেতে চলেছে ছোটরাও৷ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ থেকে শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ৷ ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কো-উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া৷ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য দেশজুড়ে কোউইন অ্যাপে ৬.৩৫ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর নাম নথিভুক্ত করেছে৷
উল্লেখ্য, প্রাপ্তবয়স্করা একাধিক টিকা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকছে না। কারণ আমাদের দেশে আপাতত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। তবে জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন খনও পর্যন্ত টিকাকরণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়নি৷ ফলে কোভ্যাক্সিন ছাড়া ছোটদের কাছে অন্য কোনও টিকার বিকল্প নেই৷
এদিকে পয়লা জানুয়ারি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, সোমবার থেকে কলকাতার বিভিন্ন স্কুলে টিকাকরণ ক্যাম্প শুরু হবে। তবে কোভিড সংক্রমণ রুখতে আজ থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে স্কুলগুলিতে কী ভাবে টিকাকরণ হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷
২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী ৩ বছরে যাঁদের জন্ম তাঁরাই টিকা নিতে পারবে৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১০ কোটি নাবালক-নাবালিকা টিকা নেওয়ার যোগ্য। তবে রাজ্যে স্কুল বন্ধ থাকায় কোথায় টিকাকরণ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ মেয়র জানিয়েছেন, ১৬টি বরোর ১৬টি স্কুলে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের কোভিড টিকা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের পড়ুয়ারা আধার কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা নিতে পারবেন। স্কুলের আইডি কার্ড থাকলেও টিকা মিলবে। কলকাতা পুরসভার ৩৭টি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকেও ছোটরা টিকা নিতে পারবে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে হবে৷ প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের সঙ্গে কোনও ভাবেই ছোটদের টিকাকরণ যেন মিশে না যায়৷ টিকাকরণের জন্য রাজ্যকে আলাদা করে টিকাকরণ কেন্দ্র প্রস্তুত করতে হবে৷