গরম থেকে রেহাই পেতে রাজ্যে আসন্ন বর্ষা

বিগত কদিন আগেই আবহাওয়া দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে চলতি বছর সময়ের পূর্বেই এগিয়ে আসতে পারে বর্ষাকাল। এবার প্রতীক্ষার অবসান। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল মানুষ। বিগত কয়েক দিন ধরে মেঘলা আকাশ থাকলেও সেইভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা যেন গরম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃষ্টি কবে হবে সেই প্রশ্ন বারবার ধরে করে আসছে মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে তাও বৃষ্টি হয়েছে বলে স্বস্তি, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ সেইভাবে বর্ষণের আঁচ পায়নি। তবে এবার মৌসম ভবন দিল স্বস্তির বার্তা। নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে বলে জানান হল।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের তরাই ও ডুয়ার্সে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে। সিকিমেও বৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাংলার দক্ষিণ অংশ আর বেশি দিন হয়তো বঞ্চিত হবে না। রবিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা প্রবেশ করেছে গোটা বাংলাদেশেও। তাই সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসী যে তাড়াতাড়িই স্বস্তি পেতে চলেছে তা স্পষ্ট।

হাওয়া অফিস বলছে, এবার অন্তত ৪ দিন আগে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে রাজ্যে। গত কয়েকদিন ধরে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি বাড়ছিল। রোদের দেখা সেভাবে না পাওয়া গেলেও একটা গুমোট আবহাওয়া মানুষের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। আপাতত তা থেকে রেহাই মেলার ইঙ্গিত। দিন কয়েক আগে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গ তথা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। কলকাতায় বর্ষার আসতে আসতে ১১ জুন পার হয়ে যাওয়ার কথা। তবে বর্ষা না হলেও চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।