এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি যাচ্ছে রাজ্য সরকারের৷ একদিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে পৰিস্থিতি৷ অন্যদিকে ডিএ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের৷ আবেদন খারিজ করল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে৷ এই খবরে খুশির হাওয়া সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে৷
এদিন রাজ্যের তরফে বলা হয়, তহবিলে টাকা নেই৷ তাই উঁচু হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের সাফ নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে স্যাট-এর রায় কার্যকর করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি হাইকোর্ট জানায়, মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ হল সরকারি কর্মীদের আইনত অধিকার, মৌলিক অধিকার। এদিন স্যাটের রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া কনজিুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে ডিএ-র হিসাব করতে হবে। বর্তমান সরকার এসে ডিএটাকে সম্পূর্ণভাবে গুলিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ঠিকমতো ডিএ পাই না।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে ২০১৬ সালে মামলা হয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে৷ মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এর পর ডিএ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে৷ নেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ সেই মামলাতেই এদিন উল্লেখযোগ্য রায় দিলে আদালত৷ ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা যে লড়াই শুরু করেছিলেন, তা আজ শেষ হল৷ সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷
২০১৯ সালের ২৬ জুলাই বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ ও সুরেশ কুমার দাস তাঁদের রায়ে জানিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছয় মাসের মধ্যে ডিএ দিয়ে দিতে হবে। আজ সেই রায়ই বহাল রাখল হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ৷ এদিন হাইকোর্ট বলে, তিন মাসের মধ্য়ে স্যাটের রায় কার্যকর করতে হবে। এদিন মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা শুধু কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজের জয় নয়, এই জয় রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মচারীর৷