করোনাভাইরাসের জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে আবার মাঙ্কিপক্স, ফ্লু, ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগ নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই রোগের জ্বালায় আপাতত নাস্তানাবুদ হয়েছে সাধারণ মানুষ।
তবে এরই মাঝে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে যক্ষ্মা। প্রধানত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৩৪০ টপকে গিয়েছে। তাই তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসন।
এই রোগ যাতে আরও দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যেই কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও কোনও রকম উপসর্গ যেমন দু-সপ্তাহের বেশি জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, কাশি ইত্যাদি থাকলে যেন বাড়িতে সময় নষ্ট না করা হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর বলছে, মূলত চা বলয়ে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই এই ইস্যুটিকে বেশি মাত্রায় নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে রোগের বাড়বাড়ন্ত না হয় তার জন্য আগাম কিছু প্রস্তুতিও নিয়েছে সরকার।
আসলে যক্ষ্মা রোগের কারণ হল মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কোলোসিস জীবাণু। বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেটি। এই ভাইরাস নির্ধারণ করতে মোটামুটি ৮ সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
একটা সময় ছিল যখন ভারতেই অধিকাংস যক্ষ্মা রোগী ছিল। সারা বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ। এখন পরিস্থিতি যাতে বেগতিক না হয় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।