তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদে বসার পর থেকে নিজ শক্তি বিস্তৃতিতে তৎপর রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের বাইরেও তার শক্তি বিস্তৃতি করতে চাইছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের ‘দূত’ হয়ে দলের নেতা কিরণময় নন্দ তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর এই বৈঠকের পর জানা গিয়েছে যে, আগামী মাসেই উত্তরপ্রদেশ যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন বিধানসভা ভোটে অখিলেশের দলের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। ৮ ফেব্রুয়ারি লখনউ যাবেন মমতা বলে জানিয়েছেন কিরণময় নন্দ।
বিষয় হল, দেশের কোভিড গ্রাফে নজর দিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই সরাসরি প্রচার না করতে পারলেও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেবেন মমতা। ২ দফায় উত্তরপ্রদেশে ভার্চুয়াল প্রচার করবেন তিনি। লখনউ এবং বারাণসীতে প্রচার হবে। মমতার প্রচারে যাওয়ার ব্যাপারে কিরণময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় মুখ। অখিলেশ বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছিলেন, সেই প্রেক্ষিতে মমতা তাঁকে সময় দিয়েছেন বলেই জানাচ্ছেন কিরণ। তবে এই প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, লখনউ, বারাণসী ঘোরার জায়গা, ঘুরে আসা ভাল। কত উন্নয়ন হয়েছে সেখানে গেলে দেখা যাবে।
তবে শুধু কি সমাজবাদী পার্টির দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে হ্যাঁ বলবেন মমতা? এই প্রশ্নটা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে জন্মেছে। অনেকের ধারণা, সমাজবাদি পার্টির থেকে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের জন্য আসন দাবি করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও, মমতা আসন চাইলে তা কটা চাইবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বর্তমান। আপাতত ভোট প্রচারের ব্যাপারেই জানা গেল। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় পুরভোটে লড়েছে মমতা বাহিনী, আবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ার পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে মমতার দল। তাই মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশকেও বাদ রাখবে না তারা। যোগী রাজ্যেও ভোটে অংশ নিতে চাইছে বাংলার শাসক দল।