পাহাড়ে বনধের জেরে জলপাইগুড়ি হয়ে সিকিম যাবার পথে গরুবাথানে আটকে পর্যটকরা বিপাকে

১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের কারনে ঘুর পথে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে দিয়ে সিকিম পৌঁছনোর রাস্তায় পাহাড়ী বনধ এর প্রভাবে সমস্যায় পর্যটন সহ সাধারণ মানুষ। ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে কালিম্পংয়ের গরুবাথান। চলছে বিক্ষোভ-পথ অবরোধ। ফলে বিপাকে সিকিম মুখী পর্যটক সহ সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য’ দফায় দফায় মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরেও পাহাড়ের চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এর জেরে সোমবার ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই বনধকে সমর্থন করেছে পাহাড়ের প্রায় সমস্ত আঞ্চলিক দল। পাহাড়ের এই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকে। এদিন সকাল থেকেই গরুবাথানের পান্ডারা মোড়ে পথ অবরোধ করেন চা শ্রমিকেরা।

গরুবাথান ব্লকে লোয়ার, আপার ফাগু, অম্বিয়ক, মিশন হিল, কুমাই সহ আরও বেশ কয়েকটি চা বাগানে বন্ধ কাজকর্ম। পাশাপাশি বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন চা শ্রমিকরা। সোমবার গরুবাথানের বাজারে সাপ্তাহিক হাট। জেলার সর্ববৃহৎ হাট এটি। এদিন আর হাট বসেনি। উল্লেখ্য, পাহাড়ের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের এখনও পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হয়নি। ২ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তার পর থেকে তিনটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। রবিবারও বৈঠক হয়। শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে, মালিকপক্ষ ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে নারাজ। আগের প্রতিটি বৈঠকই ভেস্তে গিয়েছে। এদিনের বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে না আসায় ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে প্রতিটি শ্রমিক সংগঠন।


অপরদিকে লাগাতার বৃষ্টি, ভূমি ধসে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা বিপদজনক , এমন পরিস্থিতিতে বিগত কয়েক দিন ধরেই শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাতায়াতকারি ছোটো গাড়ীর অধিকাংশই সেবক হয়ে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার শহরের মধ্যে দিয়ে কালিম্পং জেলার গরু বাথান, লাভা হয়ে ঘুর পথে হলেও সিকিম পৌঁছতে পারছিলো। কিন্তু বোনাস সংক্রান্ত ব্যাপারে সোমবারের ১২ ঘন্টার পাহাড় বন্ধের ডাক দেয় ৮ টি শ্রমিক ইউনিয়ন। যার প্রভাব পড়েছে গরুবাথানে, আর এই কারণেই পর্যটক সহ সাধারন যাত্রীদের পক্ষে সিকিম পৌঁছনো কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গেছে।