ঘোষিত হয়েছিল পূর্বেই, দু দিনের জন্য ধর্নায় বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দু’দিনের ধর্নায় বসে সেই মঞ্চ থেকেই এবার ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত রয়েছেন দলের নেতা-মন্ত্রীরাও৷ মঞ্চে আনা হয়েছে ভারতের সংবিধানও৷ তবে এই প্রথম নয়৷ ধর্না-অনশনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বহু পুরনো৷ এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে ধর্নায় বসেছেন তিনি৷ যার মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সিঙ্গুর আন্দোলন৷
২০০৬ সালের ১৮ মে৷ সিঙ্গুরে ছোট গাড়ির তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করেন শিল্পপতি রতন টাটা। কিন্তু, ৯৯৭ একর কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সিঙ্গুর জুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। যার নেতৃত্বে ছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। ওই বছরই ৩০ নভেম্বর সিঙ্গুরে গিয়ে আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টানা ১৪ দিন সিঙ্গুরে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ সেখানে ১৪টি ক্যাম্প করে ছিলেন তৃণমূলের নেতারা৷ এর পর ডিসেম্বর মাসে সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের জমি ফেরানোর দাবিতে ২৬ দিন ধর্মতলার মোড়ে অনশন-অবস্থান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা তৎকালীন রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে৷ এর পরেই সিঙ্গুর থেকে ন্যানো প্রকল্প গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যায় টাটারা৷ ২০১১ সালে বিপুল ভোটে জিতে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসে জোড় ফুল৷