বহু টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে সদ্য মাত্রই মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন তিনি। একসময় বাণিজ্যনগরীর রাস্তায় রাস্তায় অটো চালিয়েছেন। দিনভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তবেই উঠেছে সংসার খরচের জন্য কিছু টাকা। কিন্তু কালেচক্রে মুম্বইয়ের ছাপোসা সেই অটোচালকই আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর চতুর বুদ্ধি এবং কর্মদক্ষতার কাছে হার মেনেছেন স্বয়ং উদ্বব ঠাকরে। স্বামীর এই সাফল্যে তাই খুশিতে আত্মহারা শিন্ডে পত্নী। আর তাই দীর্ঘ রাজনৈতিক উথান পতনের পর্ব কাটিয়ে যখন নিজের বাংলোয় ফিরলেন শিন্ডে, তখন স্বামীকে স্বাগত জানাতে স্ত্রী নিজের হাতে তুলে নিলেন ড্রামের কাঠি।
এদিন স্বামীকে আপ্যায়ন করার কোনও ত্রুটি রাখেননি শিন্ডেপত্নী। বিশাল ব্যান্ড পার্টি থেকে শুরু করে, বিপুল জনসমাগম শিন্ডেকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিল সব। আর সেই মহাসমারোহেই মনের সুখে ড্রাম বাজাতে দেখা গেল শিন্ডেপত্নীকে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বরাবরই ঠানের বাসিন্দা। ঠানের বাংলো ‘শুভদীপ’-এ সস্ত্রীক বাস তাঁর। পরিবার বলতে বর্তমানে শুধু স্ত্রী লতা ও এক ছেলে রয়েছেন। তবে শুধু রয়েছেন বললে ভুল বলা হবে। কারণ শিন্ডের জীবনে তাঁর স্ত্রীর ভূমিকা অনেকটাই বটগাছের মতো। পরিবারের পাশাপাশি রাজনীতিতেও লতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এমনকি শোনা যায় একনাথকে ঘরে ফেরাতে দিন কয়েক আগে উদ্ধব পত্নী স্বয়ং শিন্ডের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। যদিও তাতে লাভ কিছু হয়নি। তবে শিন্ডের জীবনে তার স্ত্রীয়ের ভূমিকা ঠিক কতটা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে শিবসেনার এই পদক্ষেপে। অন্যদিকে দীর্ঘ এক মাসের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বহুদিন ঘরে ফেরা হয়নি একনাথের।
তাই শিন্ডে বাড়ি ফিরছেন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন লতা। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশই ঘটেছে তাঁর ড্রাম বাজানোর মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে একনাথ নিজেই জানিয়েছেন রাজনৈতিক জীবনের সূচনায় লতার ভূমিকা ঠিক কতটা। কারণ, ২০০০ সালে নৌকা দুর্ঘটনায় দুই ছেলে দীপেশ এবং শুভারার যখন মৃত্যু হয় এবং অবসাদে চলে যান একনাথ তখন তাঁকে অবসাদ থেকে বার করে আনতে রাজনীতির দুনিয়ায় টেনে আনেন স্ত্রী লতাই।