আগামী তিন বছরে বিপদ বাড়ছে আন্টার্কটিকার বরফ নিয়ে

এর আগেও এই উদ্বেগের কথা উঠেছে৷ বিশ্ব উষ্ণায়নের দাপটে গলতে শুরু করেছে আন্টার্কটিকার বরফ৷ পাতলা হচ্ছে বরফের চাঙর৷ উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে উদ্বেগের ছবি৷ সুমেরু এবং কুমেরু, আশঙ্কাজনকভাবে পৃথিবীর দুই মেরুর সাগর, মহাসাগরে জমে পুরু বরফের চাঙরই গলে পাতলা হতে শুরু করেছে৷ তবে উদ্বেগের বিষয় হল, নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ বরফ গলার কথা, তার চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে এই বরফ গলে যাচ্ছে৷ 

ফি বছর কতটা বরফ গলল, সেই তথ্য রেকর্ড করা হয়৷ উপগ্রহ চিত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর আন্টার্কটিকার সাগর, মহাসাগরের উপর বরফের চাঙড় সবচেয়ে বেশি গলেছে৷ পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে রহস্যে মোড়া এই মহাদেশের সাগর, মহাসাগরের বুকে আপাতত ভাসমান বরফের চাঙর ছড়িয়ে রয়েছে খুব বেশি হলে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে৷ গত গত চার দশকে যা সবচেয়ে কম৷ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এর পাতায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা৷ 

প্রায় একই অবস্থা সুমেরু অঞ্চল বা আর্কটিকের৷ পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত এই মহাদেশের বরফও গলে পাতলা হতে শুরু করেছে৷ ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সুমেরুর সাগর, মহাসাগরকে ঢেকে রাখা পুরু বরফের চাঙর সবচেয়ে দ্রুত ক্ষয়েছে৷ গত ৩ বছরে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বা ১.৬ ফুট বরফের চাঙর গলেছে৷ যা প্রায় ১৬ শতাংশ৷ 

শুধু তাই নয়, চিন্তার বিষয় হল সুমেরুর সাগর বা মহাসাগরের উপর জমে থাকা বরফের পুরু আস্তরণ যতটা এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল, গত ১৮ বছরে তা কমতে কমতে এক-তৃতীয়াংশ হয়ে গিয়েছে৷ এই বিষয়টি প্রকাশিত হয়ছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’-এ।  নেচারে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আন্টার্কটিকার সাগর, মহাসাগরের উপর বরফের আস্তরণ সবচেয়ে বেশি ক্ষয় হয়েছে৷ ওই দিন আন্টার্কটিকার সাগর, মহাসাগরের উপর বরফের চাঙড় ছড়িয়ে ছিল মাত্র ১৯ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। যা গত সাড়ে চার দশকে সর্বনিম্ন।