সামান্য স্বস্তি মিলল রাজ্যের পাশাপাশি দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের করোনা গ্রাফ ব্যাপকভাবে বদলাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়ে এখন ২ লক্ষও ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। আজকের তথ্য বলছে, রবিবারের তুলনায় সোমবার দৈনিক সংক্রমণ ৫ শতাংশ কমেছে, কিন্তু বেড়েছে সংক্রমণের হার। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। শেষ তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তবে মোট আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে এখনও মহারাষ্ট্র।
কেন্দ্রীয় বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ০৮৯ জন৷ একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৮৫ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৮০ হাজার ২৫৩ এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫১। এদিকে, দেশের সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১৯.৬৫ শতাংশ। দেশের সার্বিক সংক্রমণের হার ৫.৩১ শতাংশ। এদিকে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৫৭ কোটি ২০ লক্ষ ৪১ হাজার ৮২৫ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৪৮ ডোজ। এদিকে, বর্তমানে দেশে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২০ জন এবং দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৯৪.২৭ শতাংশ। পাশাপাশি দেশে এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২০৯ জনে। যার মধ্যে ৩ হাজার ১০৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।