শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে বারংবার তলব পেছলেও অবশেষে হাজির হতে হয়েছে তাকে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ বেলা বারোটা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছন তিনি। তৃণমূলের নেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীরাও। জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন তৃণমূলের এই নেতা। আপাতত তিনি বাড়ি ফিরেছেন। আজ তাঁর আবার চেকআপের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে আসার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের থেকে লিখিত বয়ান নিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য রেকর্ডও করা হয়েছে। এদিন রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র ঘটনায় তাঁর ভূমিকা জানতেই মূলত অনুব্রতকে ডেকে পাঠানো হয়। এবার তাঁর থেকে যা বয়ান নেওয়া হল সেগুলি অন্য অভিযুক্তদের থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। অসুস্থতার জন্য গত শুক্রবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। এর পর বুধবার ফের বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি।
গত বছর ২ মে রাজ্য বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরপর একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। বিরোধীরা এই ইস্যু নিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ওদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা তৎপর হয়ে ওঠে তদন্তে। ২ মে বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই এবং তার প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে তলব করে তারা।