এবার ত্রিপুরায় উত্তেজনার পারদ চড়তে চলছে আরো। আগামীকাল পুরভোট শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরায়। পুরভোটের আগে ভোট কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা। ৬৪৪টি পোলিং বুথের মধ্যে ৩৭০টি অতি স্পর্শ কাতর এবং ২৭৪টি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ অতি স্পর্শকাতর বুথগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ৪ জন জওয়ান৷ স্পর্শকাতর বুথগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ৪ জন সশস্ত্র পুলিশ৷ আগরতলা পুরসভার পোলিং বুথগুলিতে থাকবেন ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ৫ জন করে জওয়ান৷
এক রিটার্নিং অফিসার জানান, প্রতিটি বুথে ৫ জন করে পোলিং পার্সনেল থাকবেন৷৷ সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি রয়েছে পোলিং স্টেশনগুলি৷ পোলিং পার্সনেলরাও প্রশিক্ষিত৷ ডিসি-আরসি-তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ ৬টি পুর পরিষদ এবং ২টো নগর পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই শাসকদল বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে৷ এর পর একটি পুরনিগম বাকি পুর পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েতে ভোট হবে৷ আগরতলা পুরনিগমের ৫১টি ওয়ার্ডে ভোট হবে৷ মোট ৪৩৯টি পোলিং স্টেশন রয়েছে৷ সেখানে ২০০০-এর বেশি আধিকারিকরা নিযুক্ত রয়েছেন৷ উমাকান্ত অ্যাকাডেমি থেকে তাদের ভোট সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে৷ প্রত্যেকটি পোলিং বুথে রয়েছে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা৷ প্রয়োজনে সিআিপিএফ জওয়ানরা থাকবেন পুর এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য৷ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর প্রশাসন৷
প্রসঙ্গত, সায়নীর গ্রেফতারের পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় তৃণমূল৷ তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এই অবস্থায় ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক৷ সেই আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি বিক্রমনাথের দুই সদস্যের বেঞ্চ৷ তৃণমূলের আবেদন খারিজ করলেও ত্রিপুরায় সুষ্ঠ ভাবে ভোট পরিচালনা এবং ভোট গণনার জন্য নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷ নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷ এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘‘গণতন্ত্রে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হল চরম পদক্ষেপ৷ এমনটা হলে বিরূপ নজির সৃষ্টি করবে৷ তবে আবেদনকারীর আশঙ্কা দূর করার দায়িত্ব ত্রিপুরা সরকারের৷ যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে৷ সুষ্ঠ ভাবে পুরভোট পরিচালনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে৷’’