বাড়ন্ত কোভিড সংক্রমনের আবহেই সম্পন্ন হবে পুরোনিগম ভোট। আর দিন কয়েক বাদেই চার জায়গায় পুরভোট। আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, বিধাননগর, এই চার পুরসভাতে ভোট হবে। কোভিড আবহে ভোট আপাতত পিছোয়নি এবং সকলেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এদিকে শিলিগুড়ি পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে তারা সব ওয়ার্ডে সমর্থন করবে তা জানিয়ে দিলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তাঁর স্পষ্ট কথা, তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য শিলিগুড়িবাসীর কাছে আবেদন করবেন তারা।
বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত পাহাড়ের চিত্রটা একটু অন্যরকম ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গিয়েছে, এদিকে সুবিধা পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে মোর্চার একটি অংশ সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূলকে। সেই সময় থেকেই নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ দেখা যাওয়ার হাওয়া উঠেছে। এখন শিলিগুড়ি পুরভোট প্রসঙ্গে রোশন গিরির সাফ বক্তব্য, গত ১০-১১ বছর ধরে পাহাড়ের মানুষকে মিথ্যে বলে আসছে বিজেপি। তারা মানুষকে অন্ধকারে রাখে। তাই তাদের একটিও ভোট নয়। তবে শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করলেও পাহাড়ের ভোটে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি। এই বিষয় আলোচনা চলছে বলে জানান হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনে করোনা বিধি কঠোরভাবে পালন করতে কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ করোনা বিধি না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পুরভোটের কারণে করোনা সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণের ৫ দিন আগে থেকে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুরো এলাকা গুলির বুথে টিকাকরণের কাজ চলবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। প্রচার সবার ক্ষেত্রে জমায়াতের উর্ধ্বসীমা ৫০০ জন থেকে কমিয়ে ২০০ জন করার ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।