হু হু করে বাড়ছে পেট্রোলের দাম। লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানিতে। পেট্রোল আগেই ‘সেঞ্চুরি’ করেছিল, এবার রাজ্যে ১০০ পেরোল ডিজেলও। বাংলার ছয় জেলায় আপাতত লিটার প্রতি ১০০ টাকা পার করেছে ডিজেল। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, নদীয়ায় ১০০ টাকা পার করে ফেলেছে ডিজেল। কলকাতাতেও ‘সেঞ্চুরি’ করার পথেই ডিজেলের দাম। এটাই রাজ্যে ডিজেলের দামে সর্বকালীন রেকর্ড। পেট্রোলের দামে দেশ সর্বকালীন রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছিল। এই নিয়ে ১৫ দিনে ১৩ বার দাম বেড়েছে জ্বালানির। এই সময়ে পেট্রোল এবং ডিজেল দুইয়েরই দাম বেড়েছে ৯ টাকার বেশি।
তবে এইভাবে মূল্যবৃদ্ধি হলে কী প্রভাব পড়বে সাধারণের পকেটে? তার কিঞ্চিৎ উত্তর এখন মিলছে। অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে। কারণ পণ্য পরিবহনে মূলত ডিজেল ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাজার মূল্য বেড়ে যাবে সাধারণ মানুষের। নিত্য দিনের মামুলি খাবারের দাম বেড়ে যাবে। কিন্তু প্রতিদিন কেন বাড়ছে এই দাম? অনুমান করা হচ্ছে, সরকারের ভাণ্ডারে টাকা নেই, অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এইভাবে দাম বাড়িয়ে সেই ভাণ্ডার পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এও আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও বাড়বে জ্বালানির দাম। তাই শ্রীলঙ্কার দিকে তাকিয়ে এখন ভারতেও ভীতি বাড়ছে।
বিগত কয়েক দিনে জ্বালানির এই বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধিকে ইস্যু করে রাজনৈতিক উত্তাপও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা একযোগে আক্রমণ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পর এক নাগাড়ে বেড়েছে জ্বালানির দাম। তাই কটাক্ষের শিকার হচ্ছে বিজেপি সরকার। যদিও তারা পাল্টা বক্তব্যও রাখছে। জ্বালানির দাম নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, সংসদে অনেক বার এই নিয়ে বলার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু বলতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি সরকার এভাবেই দমাতে চাইছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মধ্যপ্রদেশ বাদ দিয়ে বিজেপি শাসিত সব রাজ্যে জ্বালানির দাম বাংলার থেকে কম। তাই বাংলার সরকারের কোনও নৈতিক অধিকার নেই এই বিষয়ে কথা বলার। তারা নিজেরা দাম কমাচ্ছে না। তবে তাঁর আশা, রাশিয়ার সঙ্গে তেলের ব্যাপারটি মিটলেই দাম কমে যাবে।